স্টাফ রিপোর্টারঃ
পদ্মা সেতুর উদ্ভোদন হয় ২৫ জুন, কিন্তু সেই দিন গাড়ি যাতায়াত করার অনুমতি ছিলো না৷ অর্থাৎ ২৬ জুন রবিবার সকাল ৬ টা থেকে টোল আদায় করার মাধ্যমে সেতু সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়৷ সকল না হতেই শুরু হয় যানবাহনের ভির। বাইকারা অনেক গতি নিয়ে পারি দিচ্ছে পদ্মা সেতু। সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু পারি দিতে গিয়ে ভয়াবহ বাইক দূর্ঘটনায় নিহত হয় ২ বন্ধু৷
তাদরে মধ্যে একজনের নাম মোঃ আলমগীর বয়স ২২। সসমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা।
আর অন্য জনের নাম ফজলু বয়স ২১। তিনি হরিষকুল গ্রামের বাসিন্দা।
ঢাকার নবাবগঞ্জ থেকে পদ্মা সেতু পারি দেয়ার উদ্দেশ্যে ৬ জন বন্ধু মিলে বাইকে নিয়ে স্বপ্নের সেতু দেখতে যায়৷
নিহত আলমগীর ও ফজলু এক বাইকে ছিলেন। তার বাইকের স্পিড ছিলো ১০৫।
অতিরিক্ত গতিই জেনো কাল হয়ে দাড়ালো তাদের জন্য ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তির থেকে জানা যায়, কোনো ট্রাক, লড়ি, কিংবা অন্য কোনো কাভার ভ্যানের সাথে দূর্ঘটনা ঘটেনি। বরং তাদের পিছনে যে বাইক ছিলো সেই পাইক সামনে থাকা বাইকের পিছে জোরে ধাক্কা দেয় তখনই সামনের বাইকে থাকা ২ জন গুরুতর আহত হয়৷
আহত আলমগীর ও ফজলুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কিছুক্ষণ পর জানানো হয় তারা আর বেঁচে নেই।
আলমগীর ও ফজলু ছিলো একটি RTR 4V বাইকে তাদের কারো মাথায়ই হেলমেট ছিলো না। ওভার স্পিডে ডান বাম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায় ফেলে। সাথে সাথে একজনের মৃত্যু হলেও তাদের ঢামেকে নেয়া হলে সেখান থেকে মৃত ঘোষণা করেন৷
প্রথম দিনের এমন ভয়াবহ দূর্ঘটনার জন্য সেতু বিভাগ সমস্ত সরকারি – বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন যে ২৭ জনু ২০২২ সকাল ৬ টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেতুতে মোটর সাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ ঘোষনা করেছেন সরকার।