অনেকে জানতে চেয়েছেন চীন নাকি তাইওয়ান কোন দেশ সামরিক সক্ষমতার দিকে এগিয়ে ? তাই আপনাদের জন্য অনেক কিছু বিশ্লেষণ করে লিখেছি আসলে কোন দেশ এগিয়ে। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশাকরি বুঝতে পারবেন কোন দেশ এগিয়ে।
দুদিন ধরে মোহরা প্রশিক্ষন চালিয়ে প্রস্তুত চীনের সেনাবাহিনী। সীমান্তে প্রস্তুত যুদ্ধবিমান। অন্যদিকে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে তাইওয়ান। এই অবস্থায় চীন তাইওয়ানের উপর অভিযান পরিচালনা করলে রাশিয়া ইউক্রেনের মতো আরেকটি যুদ্ধ বিদ্ধস্থ রূপ দেখবে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে চলছে চীন ও তাইওয়ানের সামরিক ক্ষমতা সক্ষমতা নিয়ে নানা রকম আলোচনা। যদি সামরিক অভিযান শুরু করে চীন তাহলে তাইওয়ান পারবে কি নিজেদের রক্ষা করতে?
চলুন এবার জেনে নেই চীন ও তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতায় কে এগিয়ে।
সামরিক ক্ষমতার দিক থেকে যক্তরাষ্ট্র বাদে অন্য দেশের চেয়ে সবচেয়ে বেশি খরচ করে চীন। চলতি বছরের চীনের প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট ঘোষণা ককরা হয়েছে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে তাইওয়ানের মাএ ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চীনের সক্রিয় সেনা রয়েছেঃ
২০,৩৫,০০০ জন।
স্থলসেনা রয়েছেঃ ৯,৬৫,০০০ জন৷
নৌসেনা রেয়েছেঃ ২,৬০,০০০ জন।
বিমানসেনা রয়েছেঃ ৩,৯৫,০০০ জন।
রিজার্ভ সেনা রয়েছেঃ ৫,১০,০০০ জন
অপর দিকে তাইওয়ানের সক্রিয় সেনা রয়েছেঃ ১,৬৯,০০০ জন।
স্থলসেনা রয়েছেঃ ৯৪,০০০ জন।
বিমানসেনা রয়েছেঃ ৩৫০০০ জন।
নৌসেনা রয়েছেঃ ৪০০০০ জন।
রিজার্ভ সেনা রয়েছেঃ ১৬,৫৭,০০০ জন।
ট্যাঙ্ক সক্ষমতার দিক থেকে বিশ্বের ৪র্থ শক্তিশালী দেশ চীন। চীনের মোট ট্যাঙ্ক রয়েছেঃ ৫,৪০০ টি।
বিমান রয়েছেঃ ৩,২২৭ টি ( যার মধ্যে আছে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার সহ অনেক কিছু)
সবমেরিন রয়েছেঃ ৫৯ টি।
যুদ্ধজাহাজ রয়েছেঃ ৭৭৭ টি।
বন্দর রয়েছেঃ ২২ টি ।
অন্য দিকে তাইওয়ানের ট্যাঙ্ক রয়েছেঃ ৬৫০ টি।
বিমানঃ ৫০০ টি।
সাবমেরিনঃ ৪ টি।
যুদ্ধজাহাজঃ ১১৭ টি।
বন্দর রয়েছেঃ ৬ টি।
বিমান হামলা সহ দূর পাল্লার আক্রমণ চালানোর জন্য দুই দেশেরই রয়েছে বেশ কয়েক রকম কামান বা আর্টিলারি । তবে এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ভাবে এগিয়ে আছে চীন।
চীনের সামরিক বাহিনীতে আর্টিলারি রয়েছেঃ ৯,৮৩৪ টি।
সাঁজোয়া যান আছেঃ ৩৫,০০০ টি।
বিমান রন তরী আছেঃ ২ টি।
অন্যদিকে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীতে আর্টিলারি রয়েছেঃ ২,০৯৩ টি।
সাঁজোয়া যান আছেঃ ৩,৪৭২ টি।
বিমান রন তরী আছেঃ ০ ( একটি ও নেই ) ।
পারমানবিক অস্ত্র কোন দেশের কতোটা রেয়েছে তা ১০০% বলা না গেলেও বিভিন্ন বিষয় তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে যে, চীনের পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে ২৫০ – ৪০০ টির মতো। যার মধ্যে ৪৫ বার এর মতো পারমানবিক পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।
তাইওয়ানের পারমানবিক অস্ত্র নেই। তবে বিভিন্ন সময় শোনা যায় যে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র বানানো সহ, পারমানবিক কেন্দ্রের খোঁজ পেয়েছে বিভিন্ন সংস্থা ।
তো আশা করি আপনারা এখন বুঝতে পারছেন চীন ও তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে কোন দেশ এগিয়ে।
যুদ্ধ শুরু হলে কোনো দেশ কাউকে ছাড় দিবেনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Abdullah Sk
August 6, 2022 at 3:28 am
Sweet coin earn: Check out this free app — It Pays to Walk 🚶 https://sweatco.in/i/mover65225453170
https://tegro.com/invite/uunqd